আমার আদরের বোন স্বর্ণা,
চোখে তার বয়ে যেত বন্যা।
কত সোহাগ, কত স্নেহ করিত সবাই,
শত সোহাগে তার কান্না থামে নাই।
সবাই ডাকছে তার মা কে,
আমিও যাব তার সাথে।
নিয়ে যাও সবাই আমার মায়ের কাছে,
এই দুনিয়ায় আমার প্রাণ যে না টিকে।
শত কান্নার পর আসত আমার কাছে,
কত বুঝাতাম তবু মানতে কি চাইত।
শত বুঝনোর পর যদি কান্না না থামিত,
কি করব উপায় আমারও চোখে জল আসিত।
বুকে জমানো ব্যথা তখন আরও বাড়িয়া যাইত,
দুই ভাই বোনের চোখে ঢল বুঝি নামিত।
বাড়িতে বসে ফোনে বলিত বোনের কাছে,
ভাইয়া যেন কিনে দেয় সবকিছু এক সাথে।
যখন যা চাইত তাই সে পাইত,
যদি একটু দেরি হত চোখে জল তার ঝরিত।
মা যখন চলে যায়, তখন সে ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী,
এখন সে ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিচ্ছে জেগে কত রাত্রি।
সে এখন বড় হয়েছে ভিতরে তার বেদনা,
কান্না আসলেও সে আজ বুঝাতে চায় না।
সেই কথা আজ মনে পড়ে চোখে বইছে ঝর্ণা,
বোন তুই বড় হও দোয়া করি স্বর্ণা।
কাব্যগ্রন্থঃ মায়ের ভাষা
১২-০২-২০১৩ ইং
লালবাগ-ঢাকা